তৌহিদ চৌধুরি প্রদীপ(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার

দ্বীনেরটুক দারুল কুরআন ফাজিল(ডিগ্রী)

মাদ্রাসা’র শিক্ষানুরাগী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মো: মর্তুজ আলী।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মর্তুজ আলী মাদ্রাসার শিক্ষানুরাগী সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এমন কয়েকটি পোষ্ট ফেইসবুকে প্রচার হয়।

এর আগে বুধবার সকালে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে আওয়ামীলীগ নেতা মো: মর্তুজ আলীকে মাদ্রাসার শিক্ষানুরাগী সদস্য নির্বাচিত করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, আওয়ামীলীগ নেতা মর্তুজ আলী (৫০) নরসিংপুর গ্রামের ওয়ারিছ আলী’র পুত্র। তিনি নরসিংপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন ওলামালীগের সভাপতি।

এদিকে আওয়ামীলীগ নেতাকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য নির্বাচিত করায় সমালোচনার জড় উঠেছে এলাকাজুড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মো: মর্তুজ আলী সে আওয়ামীলীগের কমিটি বদ্ধ একজন নেতা। বিগত দিনে আওয়ামীলীগের দলীয় ক্ষমতায় নরসিংপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ’র বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। দলীয় ক্ষমতায় চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিলেন এই আওয়ামীলীগ নেতা। এলাকার কয়েকজন আরো জানান, জুলাই-আগস্টে গনহত্যাকারী শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার তোপের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানান ভাবে আশ্রয় নিয়ে গনহত্যাকারী আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। তার চাক্ষুষ প্রমান আওয়ামীলীগ নেতা মর্তুজ আলী। এলাকাবাসী আওয়ামীলীগের দোসর মর্তুজ আলীকে দ্বীনেরটুক দারুল কোরআন ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার শিক্ষানুরাগী সদস্য পদ হতে বহিষ্কারসহ জুলাই-আগস্টে গনহত্যাকারীদের সহযোগিতার দায়ে আইনের আওতায় নিতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।

অন্যদিকে,আওয়ামীলীগ নেতা মর্তুজ আলী বিগত দিনে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ও দলীয় প্রচার-প্রচারনার একাধিক তথ্য চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার বেশ কিছু প্রমান ও পাওয়া গেছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে দ্বীনেরটুক দারুল কোরআন ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাকির হোসেন এর মুঠোফোনে পর পর একাধিক কল করে বন্ধ পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য জানা যায়নি।

এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা ছিলনা, বিকেলে এই মেসেজ টা পেয়েছি। মাদ্রাসার কমিটিতো আমরা করিনি। যেহেতু উনার বিষয়ে আপত্তি উঠেছে আমি খোঁজ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষপ নেবো।