মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, আজীবন গণতন্ত্রী ও নিখাদ দেশপ্রেমিক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী ছিলেন এক অনন্য সাধারণ ব্যতিক্রমী মানুষ। তাঁর দেশপ্র্রেম ছিলো নিখাদ, প্রশ্নাতীত এবং অতুলনীয়। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বঙ্গবীর ওসমানীর সামগ্রিক মূল্যায়ন হওয়া উচিত।
বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানীর ৪১ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার সিলেট নগরীর শিবগঞ্জস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী গ্লোবাল ফাউন্ডেশন ও ওসমানী জন্মশতবর্ষ উদযাপন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী গ্লোবাল ফাউন্ডেশন ও ওসমানী জন্মশতবর্ষ উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সাংবাদিক-লেখক ও ওসমানী গবেষক মুহাম্মদ ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট কমিউনিটি সংগঠক, ওসমানী গবেষক ইকবাল হোসেন চৌধুরী।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ এবং বিশিষ্ট লেখক- সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবীর ওসমানী গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের মহাসচিব চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ এডভোকেট ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মহীউদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা অনুষ্ঠান বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানীর অনন্য জীবন ও অনন্য কর্মের যথাযথ মুল্যায়ণ, রাষ্ট্রীয়ভাবে ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন, সররকারি উদ্যোগে পাঠ্য পুস্তকে বঙ্গবীর ওসমানীর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা, ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যু দিবসে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বাণী প্রদানের দাবি জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানীর রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দুয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয। এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফিজ আজির উদ্দিন।