দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আবু সালেহ মোঃ আলা উদ্দিন।
গসুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের পানাইল মৌজার বিছনাঝাই, চেঙ্গাইয়া, সোনাখালী, কোনারচিরি, দাড়িপাড়, ফুলনলী, বিলপাড় নাফতেরগাঁও আলমপুর হাওরে প্রায় ১৭০০ বিঘা বোরো, ২৫৪ হেক্টর জমি ধান চাষ করা হয়েছে, হাওরের এই কৃষি জমিতে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে সেচ প্রকল্পের এতে বোরো মৌসুমে ধানের জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। বোরো চাষিদের সেচ চিন্তা এখন এই প্রকল্পের পানি।
এদিকে, প্রচণ্ড রোদে জমিতে পানি না থাকায় শুকিয়ে গেছে হাওরের জমি , ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাহেবের গাঁও পানি ব্যাবস্হাপনা সমবায় সমিতির মাধ্যমে সেচের মাধ্যমে মরা সুরমা নদী হতে কৃষকদের বোর জমিতে পানি ব্যাবস্হা করার জন্য ২০লক্ষ একান্ন হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সমবায় সমিতির সভাপতি আবুল খায়ের তিনি জানান মরা সুরমানদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সঠিক সময়ে এসে দোহালিয়া ইউনিয়নের দাড়িপাড় হাওর সহ অন্যান্ন হাওরের বোরো ধান সহ চাষিদের ক্ষেতে হয়েছে পানির সংকট। বেশিরভাগ ধানের জমিতেই পানির প্রয়োজন, পানি না থাকায় চিন্তায় পড়েছেন কৃষকের আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত এই পানি সংকট থেকে উত্তরণ হওয়ার।
দোয়ারা উপজেলার জিবনপুর গ্রামের ধান চাষি চান মিয়া জানান বোরো ধানের আবাদ করেছি। সেচ প্রকল্পে পানির অসুবিধার কারণে ক্ষেতের ধানের চারা লাল হয়ে মরে যাইতেছে । আরেক কৃষক ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব জানান এই সময়ে সেচ থাকলেও সেচের পানি নাই হওয়ার কারনে ধানই হবে না। আর হুট করে মরা সুরমা নদীতে পানি না থাকায় এখন তো মেশিন দিয়ে পানিও নিতে পারবো না।
জীবন পুরের বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান জমিতে পানির সংকটের কথা সেচের পানি সঠিক সময়ে না পাওয়ায় আমাদের মাথায় হাত।
এ বিষয়ে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-সহকারী পৌকশলি সঞ্চিত কুমার মন্ডল জানান, এই অঞ্চলে বোরো ধান যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন। আমরা সাহেবের গাঁও পানি ব্যাবস্হানা সমবায় সমিতির মাধ্যমে কৃষকদের সঠিক সময়ে পানি সরবরাহের ব্যাবস্হা করার চেষ্টা করছি।