Dhaka 5:54 pm, Wednesday, 5 February 2025

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা,বিএনপির সমাবেশ

রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সমাবেশে বিএনপি নেতা আবুল বাসার ফুল মিয়ার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।

 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা বিএনপি, পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম আদর্শ মহিলা কলেজ মাঠে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সদস্য খোন্দকার মো. আবুল কালাম, আর সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল উদ্দিন রাশেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম।

সমাবেশে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। হাতিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আবুল বাসার ফুল মিয়া তার বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

তবে আবুল বাসার ফুল মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিইনি। এটা আমাদের দুশমন, আমাদের খান্দানের দুশমন। আমি কেন জয় বাংলা বলবো? আমি তারেক জিয়া জিন্দাবাদ বলেছিলাম। আমার পাশ থেকে অন্য কেউ জয় বাংলা বলেছিল।”

হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, “বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে বলা হয়েছিল। আবুল বাসার ভাই ‘জয় হোক বাংলাদেশ, চিরজীবী হোক’ বলতে গিয়ে ভুলবশত জয় বাংলা বলে ফেলেছেন। তবে তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলেননি। মানুষ মাত্রই ভুল করে, তিনি ইচ্ছাকৃত করেননি।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, “জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে। এখন শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর পর কিছু নেতা সুবিধা নিতে দল বদলানোর চেষ্টা করছে। আবুল বাসার ফুল মিয়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন নানা সুবিধা নিয়েছেন। বিএনপির সমাবেশে তার এমন বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না।”

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, “বিএনপির কোনো নেতাকর্মী নিষিদ্ধ স্লোগান দিতে পারবে না। সংগঠনবহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ডে কেউ জড়ালে, সে যেই হোক, তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা,বিএনপির সমাবেশ

Update Time : 10:28:57 am, Saturday, 1 February 2025

রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সমাবেশে বিএনপি নেতা আবুল বাসার ফুল মিয়ার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।

 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা বিএনপি, পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম আদর্শ মহিলা কলেজ মাঠে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সদস্য খোন্দকার মো. আবুল কালাম, আর সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল উদ্দিন রাশেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম।

সমাবেশে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। হাতিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আবুল বাসার ফুল মিয়া তার বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

তবে আবুল বাসার ফুল মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিইনি। এটা আমাদের দুশমন, আমাদের খান্দানের দুশমন। আমি কেন জয় বাংলা বলবো? আমি তারেক জিয়া জিন্দাবাদ বলেছিলাম। আমার পাশ থেকে অন্য কেউ জয় বাংলা বলেছিল।”

হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, “বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে বলা হয়েছিল। আবুল বাসার ভাই ‘জয় হোক বাংলাদেশ, চিরজীবী হোক’ বলতে গিয়ে ভুলবশত জয় বাংলা বলে ফেলেছেন। তবে তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলেননি। মানুষ মাত্রই ভুল করে, তিনি ইচ্ছাকৃত করেননি।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, “জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে। এখন শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর পর কিছু নেতা সুবিধা নিতে দল বদলানোর চেষ্টা করছে। আবুল বাসার ফুল মিয়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন নানা সুবিধা নিয়েছেন। বিএনপির সমাবেশে তার এমন বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না।”

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, “বিএনপির কোনো নেতাকর্মী নিষিদ্ধ স্লোগান দিতে পারবে না। সংগঠনবহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ডে কেউ জড়ালে, সে যেই হোক, তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”