শেরপুর প্রতিনিধিঃ
গত ৩ দিনের অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী নালিতাবড়ি উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । রবিবার থেকে গত ৩ দিনের ভারি বর্ষন ও মহারশি, কালঘোষা, সোমেশ্বরী চেল্লাখালী, ও ভোগাই নদীর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে মহারশি, সোমেশ্বরী, কালঘোষা, ভোগাই,চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মহারশি নদীর ঢলের পানির তোড়ে খৈলকুড়া, দীঘিরপাড়, রামেরকুড়াসহ কয়েক স্থানে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। দীঘিরপাড় বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ৩ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানি প্রবেশ করে ১০ টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদীগুলোতে উজানে পানি কমলেও ভাটি এলাকায় হয়েছে অবনতি হয়েছে। ঢলের পানির তোড়ে নদীর পাড় ভেঙে ৫ টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মহারশি নদীর পানি ঝিনাইগাতী বাজারে মঙ্গলবারদিন পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে ঢলের পানিতে তলিয়ে শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢলের পানিতে তলিয়ে শতাধিক একর জমির বীজতলা ও শতাধিক একর জমির আউশ ধানের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ঢলের পানির তোড়ে গ্রামীন রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরেছে। বিদ্যুৎ অফিস, প্রানী সম্পাদক অফিস, সাবরেজিস্টার অফিসসহ বেশ কয়েকটি সরকারি দপ্তরে ঢলের পানি প্রবেশ করে কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল, বলেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে পানিবন্দী কিছু এলাকায় শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। বাড়ি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন দেয়া হয়েছে । সার্বিক বন্যা পরিস্তি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।