হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
পাগলা -জগন্নাথপুর -আউশকান্দী আঞ্চলিক মহাসড়ক এর জগন্নাথপুর অংশে গোতগাঁও ব্রীজের এ্যাপ্রোচের মাটি ক্রমান্বয়ে নীচের দিকে ধাবিত হচ্ছে। স্থানীয়রা ধেবে যাওয়া অংশে পিলার এবং গাছের ডাল-পালা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। তবোও একপাশ দিয়ে স্থানীয় ও দুরপাল্লার যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে করে যেকোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে দ্রুততার সহিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি জোরদাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
১৩ ই জুলাই রোজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, পাগলা -জগন্নাথপুর – আউশকান্দী আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে মালবাহী ও যাত্রীবাহী শত শত যানবাহন চলাচল করছে। জীবন জীবিকার তাগিদে হাজার হাজার জনসাধারণ জেলা শহর সুনামগঞ্জ ও রাজধানী শহর ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে চলাচল করছেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা অংশে গোতগাঁও ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বের এ্যাপ্রোচের মাটি বিগত ১০ ই জুলাই হতে ক্রমান্বয়ে নীচের দিকে ধাবিত হয়ে ১৩ ই জুলাই এ্যাপ্রোচের মাটি সড়কের মধ্যবর্তী জায়গায় নীচের দিকে ধাবিত হয়ে ব্রীজ থেকে প্রায় দেড় ফুট নীচের দিকে ধাবিত হয়ে পড়েছে ও এ্যাপ্রোচের মধ্যাংশ থেকে একপাশে সম্পূর্ণ ধাবিত হয়ে পড়েছে। এরই পরিপেক্ষিতে স্থানীয়রা ধেবে যাওয়া অংশে পিলার এবং গাছের ডাল-পালা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। অন্য পাশও দাবিত হতে শুরু করেছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যার ফলশ্রুতিতে এই স্থানে যেকোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছেন। বিধায় জনস্বার্থে এই দুর্ঘটনাপ্রবন স্থানটি দ্রুততার সহিত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি জোরদাবী জানিয়েছেন যানবাহন যাত্রী ও এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে স্থানীয় শাহ এস এম ফরিদ, সালেহ মিয়া, সুমন ও আফরোজ আলী সহ একাধিক ব্যক্তি একান্ত আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, গত তিন দিন থেকে ক্রমান্বয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের গোতগাঁও ব্রীজের এ্যাপ্রোচের মাটি নীচের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আজ অনেক নীচের দিকে ধাবিত হয়ে পড়েছে। ধেবে যাওয়া অংশে পিলার এবং গাছের ডাল-পালা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। তবুও এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দিবারাত্রি শতশত মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করছে। যেকোনো মুহূর্তে পাগলা -জগন্নাথপুর -আউশকান্দী আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়তে পারে। এমনকি মর্মান্তিক দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। বিধায় জনস্বার্থে ঝুকিপূর্ণ স্থানটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসের চালক মুখলেছ, সাজন ও আমীর আলী সহ একাধিক ব্যক্তি একান্ত আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, জীবন জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই দুর্ঘটনাপ্রবন গোতগাঁও ব্রীজের দেবে যাওয়া এ্যাপ্রোচ দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, গত দুই /তিন ধরে ক্রমান্বয়ে এ্যাপ্রোচের মাটি নীচের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যে অবস্থা যেকোনো মুহূর্তে এই সড়ক দিয়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়তে পারে। দ্রুততার সহিত এই স্থানের সংস্কারকাজ করার লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি জোরদাবী জানাচ্ছি।
এব্যাপরারে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আশিকুর রহমান মুঠোফোনে আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, পাগলা -জগন্নাথপুর – আউশকান্দী আঞ্চলিক মহাসড়ক এর গোতগাঁও ব্রীজের এ্যাপ্রোচের মাটি নীচের দিকে ধাবিত হওয়ার খবর পেয়েছি। ধাবিত হওয়া স্থানটি সংস্কার এর জন্য আমাদের লোক পাঠানো হবে।