এস এম উমেদ আলী//
দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ একরার হোসেন একরার’এর স্বাক্ষর জালিয়াতি করা মামলায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (৪৫)জেলহাজতে।
জানা যায়, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাঃ হেলাল উদ্দীন তাহার যোগদান গভর্নিং বডি কর্তৃক ২২-০৬-২৩ ইং তারিখের সভায় অনুমোদন করা হয় বলে তিনি ২১-০৬-২৩ ইং তারিখ হইতে সরকারী বেতন ভাতাদি পাওয়ার হকদার মর্মে উপ পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সিলেট অঞ্চলে প্রেরণ করেন। এবং এমপিও ভুক্তির আবেদন করেন।
গভর্নিং বডির অজ্ঞাতসারে বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর ও সদস্য সচিবের স্বাক্ষর কম্পিউটারের মাধ্যমে স্ক্যান করে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক নিজের মোবাইল নাম্বার ও বসিয়ে দেন। এ জালিয়াতি করার কারণে বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি একরার হোসেন একরার মামলা দায়ের করেন হেলাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে। মামলার( সিআর মামলা নং- ৬৪/২০২৪, ধারা- ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১, পেনাল কোড- ১৮৬০ )।
আজ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার মামলার আসামী সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দীন জামিন পেতে আদালতে যান।
মামলার শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বিজ্ঞ আদালত উপস্থিত মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন!
গভর্ণিং বডির সভাপতি ও ৯নং কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ একরার হোসেন বলেন, স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানান অপকর্মে জড়িত সহকারী প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ে গ্রুপিং করার ফলে পড়া লেখায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যা এলাকাবাসী সবাই অবগত। অসৎ উপায়ে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন সহকারী এ প্রধান শিক্ষক। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আজ জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।