মোঃ রাকিবুর রহমান রকিব//
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টানা কয়েকদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানা পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়েছে। সরাইল থানা পুলিশ সেবার দরজা উন্মুক্ত ককার্যক্রমরায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে তবে সরাইল থানাকে দালালমুক্ত দেখতে চান এলাকাবাসী।সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সরাইল থানা পুলিশ ইউনিফর্ম পরে গাড়ী নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে পুলিশি কার্যক্রম না থাকায় ডাকাত ও ছিনতাইয়ের আতংকে ছিলেন এলাকাবাসী। অনেক জায়গায় ডাকাত আতংকে রাত জেগে পাহাড়া দিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।সেবার মনোভাব নিয়ে পুলিশ সদস্যরা থানায় যোগদান করে রাত দিন পরিশ্রম করলেও স্থানীয় কিছু দালাল কিছু পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে অবৈধ ইনকামের ধান্দায় লিপ্ত হয়ে পুলিশের সেবার মহৎ কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলে। এলাকার এসব দালালদের চিহ্নিত করে কালো তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি সরাইল থানাকে দালালমুক্ত থানা ঘোষনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এছাড়া বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে থানায় গঠিত মিডিয়া সেলের মাধ্যমে এলাকার প্রকৃত সাংবাদিকদের থানা থেকে তথ্য সর্বরাহের ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সাংবাদিকতার নামে থানায় গিয়ে যারা দালালি করতে চাই তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।এ ব্যপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সোহাগ রানা বলেন, থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। সেবা প্রার্থীদের জিডি, অভিযোগ যথারীতি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ সর্বদা নিয়োজিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করলে নিরাপত্তা শঙ্কায় থানার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে নিরাপদে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। সেই সাথে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠনসহ সংস্কারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছিলেন পুলিশ। তবে আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সরাইল থানা পুলিশের উপর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।