হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভারী বর্ষন আর পাহাড়ী ঢলের পানিতে জগন্নাথপুর এর নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হয়ে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক গুলো অচল হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় বিপুল জনগোষ্ঠী চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে পড়েছেন।
সাম্প্রতিক বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ৩০ শে জুন বিকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে দেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা, নলজুর,রত্না নদী ও ডাউকা নদী সহ বিভিন্ন নদ-নদী সহ হাওরে পানি ফের বেড়ে নিম্নাঞ্চল এর কয়েক লাখ মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে ইতিমধ্যে উপজেলার কলকলিয়া,পাইলগাঁও, চিলাউড়া হলদিপুর পাটলী, আশারকান্দী ও রানীগঞ্জ ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত নিম্নাঞ্চলের কিছু বাড়ী -ঘর এর আঙ্গিনা ছুঁই ছুঁই পানি, স্কল প্রাঙ্গন, আশ্রয়ণ প্রকল্প ও রাস্তা-ঘাট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। ফের বন্যা পরিস্থিতির আশংকায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চল এর জনসাধারণ। কেননা সাম্প্রতিক সময়ে অর্থাৎ ১৮ ই জুন থেকে বন্যায় পানি বন্দী হয়ে পড়েছিলেন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রিত ছিলেন প্রায় তিন হাজার পরিবার এর লোকজন। গত ২৭/২৮ জুন এর পর বন্যার পানি কমে যাওয়ায় নিজ গৃহে ফিরেছিলেন ওরা। আর গ্রামীন সড়ক গুলোর পানি কমে যাওয়ায় মানুষ জন যানবাহনে চলাচল করতে না পারলেও ভাঙা ছোড়া সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করছিলেন জনসাধারণ। কিন্তু ফের ৩০ শে জুন থেকে থেমে থেমে ভারী বর্ষন আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী পানিতে গ্রামীন সড়ক গুলো পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ার পাশা-পাশি বাড়ীঘর সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর আঙ্গিনা ছৌই ছৌই পানি। আবারও শংকিত হয়ে পড়েছেন তারা।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা বারীক মিয়া, রীতা রানী, এশা বিবি, সুমী বেগম, আহাদ আলী, আনছার মিয়া ও খায়রুল ইসলাম সহ অনেকেই একান্ত আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ঘরবাড়ীতে পানি উঠলে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে দিনাতিপাত করে সবেমাত্র বাড়ীতে ফিরেছি। গত তিন/চার দিন থেকে ফের মুশলধারে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া সহ হাওরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের অনেক রাস্তা -ঘাট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। স্কুল আঙ্গিনায় পানি উঠে পড়েছে। বাড়ী ঘরের আঙ্গিনা ছুঁই ছুঁই পানি। ক্রমান্বয়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত কয়েক দিন আগের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বন্যার আশঙ্কা বিরাজ করছে। আকাশের যে অবস্থা, কখন জানি কি হয় এই আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি।