জগন্নাথপুরে আবারও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে; জনমনে বন্যা আতংক

 

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ

প্রবল বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে জগন্নাথপুর এর বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পাওয়ার পাশা-পাশি হাওরেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে ফের বন্যার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ।
সাম্প্রতিক বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ৩০ শে জুন বিকাল থেকে থেমে থেমে এবং ১ লা জুলাই দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে দেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা, নলজুর,রত্না নদী ও ডাউকা নদী সহ বিভিন্ন নদ-নদী সহ হাওরে পানি ফের বেড়েই চলছে। যার ফলশ্রুতিতে ইতিমধ্যে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু বাড়ী -ঘর এর আঙ্গিনা ছুঁই ছুঁই পানি, স্কল প্রাঙ্গন, আশ্রয়ণ প্রকল্প ও রাস্তা-ঘাট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। যদিও পানির গতিবেগ বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবুও ফের বন্যা পরিস্থিতির আশংকায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চল এর জনসাধারণ। কেননা সাম্প্রতিক সময়ে অর্থাৎ ১৮ ই জুন থেকে বন্যায় পানি বন্দী হয়ে পড়েছিলেন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রিত ছিলেন প্রায় তিন হাজার পরিবার এর লোকজন। গত তিন/চার দিনে বন্যার পানি কমে যাওয়ায় নিজ গৃহে ফিরেছিলেন ওরা। কিন্তু ফের দুই দিন ধরে ভারী বর্ষন আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলের পানির গতিবেগে ফের শংকিত হয়ে পড়েছেন তারা।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা আজিজ মিয়া, সুহেল মিয়া, সিরাজুল, সুমী বেগম ও আহাদ আলী সহ অনেকেই একান্ত আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ঘরবাড়ীতে পানি উঠলে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে দিনাতিপাত করে সবেমাত্র বাড়ীতে ফিরেছি। গতকাল থেকে ফের মুশলধারে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া সহ হাওরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের অনেক রাস্তা -ঘাট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। স্কুল আঙ্গিনায় পানি উঠে পড়েছে। বাড়ী ঘরের আঙ্গিনা ছুঁই ছুঁই পানি। ক্রমান্বয়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত কয়েক দিন আগের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বন্যার আশঙ্কা বিরাজ করছে। আকাশের যে অবস্থা, কখন জানি কি হয় এই আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি।

More From Author

সুনামগঞ্জে ভারতীয় ৮৫ বোতল মদসহ ১ জন গ্রেপ্তার

জগন্নাথপুরে তিন ইউপির পাঁচ ওয়ার্ড এর উপ-নির্বাচন ঘোষণা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *