দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম মধ্যে দিয়ে দেশ ফ্যাসিসবাদ মুক্ত হয়েছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনোও সিলেটসহ সমগ্র দেশব্যাপী বিস্তার করছে। তারা বিএনপি ও জামায়াতের উপর ভর করে নতুন ভাবে দল পরিবর্তন করে রাজনীতি শুরু করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
দলের কড়া নির্দেশনা রয়েছে বিএনপির ওয়ার্ড থেকে জাতীয় পর্যায় এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি পর্যন্ত কোনো স্তরের কমিটিতে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা অরাজনৈতিক কাউকে যোগদান করানো যাবে না। বলা হয়েছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন কৌশলে বিএনপিসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে পদ নেওয়ার অপচেষ্টা করছে।
এদিকে সিলেট মহানগর বিএনপি আওতাধিন ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য মতিউর রহমান শিমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগকে পূর্ণবাসনের। তিনি ১৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মানিক সাঈদ ও তার আপন ভাই যুবলীগ নেতা জিয়াউর রহমান লিমনকে পূর্ণবাসনের চেষ্টা করছেন।
শিমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তার আপন ভাতিজা ১৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আবু জিহাদ ত্বাহাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় জড়ানো থেকে বাচাঁনোর। ছাত্রলীগে একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ হয়েও এখনোও কোনো রাজনৈতিক মামলার আসামী হয় নি। অথচ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে আবু জিহাদ ত্বাহা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন সময় বিএনপি ও ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালিয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার ভাই যুবলীগ নেতা জিয়াউর রহমান লিমন ও ভাতিজা ১৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আবু জিহাদ ত্বাহা স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার পুলিশের সোর্স শ্রমিকলীগ নেতা রাজুর মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে তল্লাসী চালানো গ্রেফতার ও নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
স্থানীয় বিএনপির দাবী সিলেট বিএনপি পরিবারের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে বা বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠান মালা গেলে স্থানীয় বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে যাওয়ার।
এ সকল অপরাধীদের বিভিন্ন ছবি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। ৫ আগস্টের পূর্বে আওয়ামী লীগের সাথে আর ৫ আগস্টের পরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে। বিএনপির শীর্ষস্থানী নেতাদের আরো সতর্কতার সহিত অনুষ্ঠান মালায় অংশগ্রহণের।
এ সকল অপরাধীদের বিভিন্ন ছবি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। ৫ আগস্টের পূর্বে আওয়ামী লীগের সাথে আর ৫ আগস্টের পরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে। বিএনপির শীর্ষস্থানী নেতাদের আরো সতর্কতার সহিত অনুষ্ঠান মালায় অংশগ্রহণের।
আর যারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে এখনো দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তৃণমূল বিএনপির কর্মীরা।