Dhaka 7:24 am, Sunday, 27 April 2025

সিলেট হাসপাতালে  জনবল নিয়োগে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:51:56 pm, Friday, 24 January 2025
  • 123 Time View

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দেশের বিভিন্ন সরকারি সেবা সংস্থায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান। এ প্রক্রিয়ায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ জনবল সরবরাহ করে আসছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর এবার সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে জনবল নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।

 

গত ৩১ জানুয়ারি দরপত্র খোলার সময় অংশ নেয় ধলেশ্বরী সিকিউরিটি এন্ড ক্লিনিং সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, আল আরাফা সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, আশরাফিয়া এন্টারপ্রাইজ এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড, যমুনা সারশেভ গার্ড সার্ভিসেস লিমিটেড, মুন্সি এইচআর সল্যুশন লিমিটেড ও সৌদি সিকিউরিটি এন্ড ক্লিনিং সার্ভিসেস লিমিটেড।

 

অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি অতীতে বিভিন্ন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ধলেশ্বরী সিকিউরিটি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে জনবল সরবরাহে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিল, যা নিয়ে মন্ত্রণালয় তদন্তও করেছে। গালফ সিকিউরিটির বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের দরপত্রে জাল পে অর্ডার জমা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডে কম জনবল দিয়ে অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এছাড়া আল আরাফা সার্ভিস কোম্পানীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের জিটিসিএলে তাদের কর্মীরা ৫ মাসের বেতন দিলে কর্মীরা রাজপথে আন্দোলন করেছেন ২০২৩ সালের মার্চ মাসে।

 

এ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্ট বিতর্কিত মামলার আসামি। তারা কার্যাদেশ পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। পাশাপাশি, কিছু রাজনৈতিক কর্মীর সহায়তায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টাও চলছে।

 

পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আউটসোর্সিংয়ে অনিয়ম, জালিয়াতি, আর্থিক কেলেঙ্কারি, এবং মামলার অভিযোগ এ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

 

জনবল নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি এবং বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন কোম্পানির প্রলোভনে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে তামাক চাষ

সিলেট হাসপাতালে  জনবল নিয়োগে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ

Update Time : 12:51:56 pm, Friday, 24 January 2025

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দেশের বিভিন্ন সরকারি সেবা সংস্থায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান। এ প্রক্রিয়ায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ জনবল সরবরাহ করে আসছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর এবার সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে জনবল নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।

 

গত ৩১ জানুয়ারি দরপত্র খোলার সময় অংশ নেয় ধলেশ্বরী সিকিউরিটি এন্ড ক্লিনিং সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, আল আরাফা সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, আশরাফিয়া এন্টারপ্রাইজ এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড, যমুনা সারশেভ গার্ড সার্ভিসেস লিমিটেড, মুন্সি এইচআর সল্যুশন লিমিটেড ও সৌদি সিকিউরিটি এন্ড ক্লিনিং সার্ভিসেস লিমিটেড।

 

অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি অতীতে বিভিন্ন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ধলেশ্বরী সিকিউরিটি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে জনবল সরবরাহে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিল, যা নিয়ে মন্ত্রণালয় তদন্তও করেছে। গালফ সিকিউরিটির বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের দরপত্রে জাল পে অর্ডার জমা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডে কম জনবল দিয়ে অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এছাড়া আল আরাফা সার্ভিস কোম্পানীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের জিটিসিএলে তাদের কর্মীরা ৫ মাসের বেতন দিলে কর্মীরা রাজপথে আন্দোলন করেছেন ২০২৩ সালের মার্চ মাসে।

 

এ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্ট বিতর্কিত মামলার আসামি। তারা কার্যাদেশ পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। পাশাপাশি, কিছু রাজনৈতিক কর্মীর সহায়তায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টাও চলছে।

 

পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আউটসোর্সিংয়ে অনিয়ম, জালিয়াতি, আর্থিক কেলেঙ্কারি, এবং মামলার অভিযোগ এ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

 

জনবল নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি এবং বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।