Dhaka 9:35 am, Tuesday, 22 October 2024

দিরাইয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে স্কুল ছেড়ে পালালেন বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক হেলালুদ্দীন

  • Reporter Name
  • Update Time : 04:33:16 am, Monday, 16 September 2024
  • 635 Time View

 

দিরাই প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে স্কুল ছেড়ে পালালেন হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হেলালুদ্দীন।
গভর্নিং বডির অজ্ঞাতসারে বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর ও সদস্য সচিবের স্বাক্ষর কম্পিউটারের মাধ্যমে স্ক্যান করে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক নিজের মোবাইল নাম্বার ও বসিয়ে দেন। এ জালিয়াতি করার কারণে বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি একরার হোসেন একরার মামলা দায়ের করেন হেলাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে। মামলায় দীর্ঘদিন জেলহাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে রবিবার ১৫ ই সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ে আসলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যান বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক হেলালুদ্দীন!
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলের দায়িত্ব থাকাকালীন অবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম করে গেছেন।দীর্ঘদিনের স্কুলের হিসাব তিনি কর্তৃপক্ষকে দেননি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন প্রায় ৭/৮ মাসের বেতন পাননি,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন।নানান অনিয়মের অভিযোগে মামলায় জেলে ছিলেন। এহেন দুর্নীতিবাজ শিক্ষককে আমরা চাইনা।
স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানান অপকর্মে জড়িত সহকারী প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ে গ্রুপিং করার ফলে পড়া লেখায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যা এলাকাবাসী সবাই অবগত।
এ বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হেলালুদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Janatar Kantha

দেশ-বিদেশে সবার কাছে একটি মানবিক সাহায্যের জন্য আবেদন

দিরাইয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে স্কুল ছেড়ে পালালেন বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক হেলালুদ্দীন

Update Time : 04:33:16 am, Monday, 16 September 2024

 

দিরাই প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে স্কুল ছেড়ে পালালেন হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হেলালুদ্দীন।
গভর্নিং বডির অজ্ঞাতসারে বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর ও সদস্য সচিবের স্বাক্ষর কম্পিউটারের মাধ্যমে স্ক্যান করে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক নিজের মোবাইল নাম্বার ও বসিয়ে দেন। এ জালিয়াতি করার কারণে বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি একরার হোসেন একরার মামলা দায়ের করেন হেলাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে। মামলায় দীর্ঘদিন জেলহাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে রবিবার ১৫ ই সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ে আসলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যান বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক হেলালুদ্দীন!
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলের দায়িত্ব থাকাকালীন অবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম করে গেছেন।দীর্ঘদিনের স্কুলের হিসাব তিনি কর্তৃপক্ষকে দেননি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন প্রায় ৭/৮ মাসের বেতন পাননি,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন।নানান অনিয়মের অভিযোগে মামলায় জেলে ছিলেন। এহেন দুর্নীতিবাজ শিক্ষককে আমরা চাইনা।
স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানান অপকর্মে জড়িত সহকারী প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ে গ্রুপিং করার ফলে পড়া লেখায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যা এলাকাবাসী সবাই অবগত।
এ বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হেলালুদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।