সুনামঞ্জের শাল্লায় পৃথক পৃথক দু’টি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় দুই জন আহত ও একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটায় ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারের অরুন দাসের ছেলে তপু দাস দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের পাশের সড়কে ওইগ্রামের মৃত রমজান মিয়ার ছেলে আক্কাছ আলী (৬৫)কে সরাসরি ধাক্কা দিলে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। সাথে সাথে তাকে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত আক্কাছ আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু কিছুদূর যেতে না যেতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অপরদিকে ওইদিন বিকাল পাঁচটায় ডুমরা-মুক্তারপুরের রাস্তায় অপর একটি দুর্ঘটনা ঘটে। মন্নানপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২০) মোটর সাইকেলে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার থেকে বাড়ি যেতে ডুমরা নতুনহাটির পাশের রাস্তায় ডুমরা গ্রামের মৃত অমৃকা দাসের স্ত্রী লক্ষী রাণী দাস (৬৫) এর সাথে ধাক্কা লাগে। এঘটনায় মোটর সাইকেল আরোহী ও লক্ষী রাণী দাস উভয়ই আহত হয়।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফেরদৌস আক্তার বলেন, মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় কবলিত গুরুতর আহত আক্কাছ আলীকে হাসপাতালে আনলে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেই এবং দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ। কিন্তু কিছুদূর যেতে না যেতেই তিনি মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন। অপরদিকে বিকাল পাঁচ টায় একজন মোটর সাইকেল আরোহী সাজ্জাদ মিয়া ও দুর্ঘটনা কবলিত বৃদ্ধ মহিলা লক্ষী রাণী দাসকে হাসপাতালে আনলে তাদেরকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় এবং তাদেরকেও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুল হক বলেন, মোটর সাইকেল চালক তপু দাস ও মোটর সাইকেলটি থানায় অটক আছে এবং মৃত আক্কাছ আলী’র সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। এবিষয়ে কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে
ব্যবস্থা নেয়া হবে।