নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২নং চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আবুল কালাম আজাদ এবং উনার পরিবারের বিরুদ্ধে চলছে ষড়যন্ত্র।
উল্লেখ্য, আবুল কালাম আজাদ এর ছেলে ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ আজাদ গত একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় তার পায়ে থাকা মুজা'কে জুতা আখ্যায়িত করে একটি ফেইসবুক আইডি থেকে ছবি ভাইরাল করা হয়।
কামরুল হাসান মিটু নামে ফেইসবুক আইডি থেকে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে সৌরভের ছবিসহ টাইমলাইন যা লিখেন, তা দর্শকদের জন্য হুবু হুব তুলে ধরা হলো।
(খালিয়াজুরী উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
এতো বড় পদের অধিকারির যদি হয় এই অবস্থা তবে নিপদি যারা আছে তাদের কি অবস্থা হবে? জুতা পায়ে শ্রদ্ধা,,, বাহ বাহ!!!
এদেরকে আওয়ামিলীগ এর আরো বড় পদ দেওয়া হোক।)
এই ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড়।
এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে ও বর্তমান সরকারের সকল বিধি-বিধান মেনে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি করে আসছি। এবং একজন চেয়ারম্যান হিসেবেও ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করে আসছি।
কিন্তু ইদানিং কিছুকতিপয় ব্যক্তি আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে একটি ফেইসবুক আইডি থেকে আমার ছেলেকে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করছে। আমি তার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে সৌরভ আজাদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই রাজনীতি করে এবং সে ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী। সে কখনো জুতা পায়ে শহীদ মিনারে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে কেনো, আমার ছেলে শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার যে ছবি ভাইরাল হয়েছে। ওই ছবিতে তার পায়ে মুজা ছিলো, জুতা নয়।
আইনগত ব্যবস্থা নিবেন কিনা চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ফোনে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে বিষয়টি অবগত করেছি। এবং খালিয়াজুরী থানার অফিসার ইনচার্জ কে জানিয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।