গত ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর প্রত্যন্ত শাল্লা উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মোঃ আল মুক্তাদির হোসেন। তিনি শাল্লায় যোগদানের পর পরই জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে গভীরভাবে নিয়োজিত করেন। নিতান্ত পিছিয়ে পড়া ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শাল্লায় যোগাযোগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণে এগিয়ে এসে স্বেচ্ছা শ্রমে গড়ে তুলেন ‘কানেক্টিং শাল্লা’। সাথে সাথে মনোনিবেশ করেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সমন্বয় করে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মাধ্যমে আস্থা অর্জন করেন জনসাধারণের।
তাছাড়া জনসাধারণের মতামত ও বিভিন্ন অভিযোগ গ্রহণের জন্য শুরু করেন গণশুনানী। যা সপ্তাহের প্রতি বুধবারে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এছাড়া হাওর বেষ্টিত ও এক ফসলী এলাকা হিসেবে খ্যাত এশাল্লা উপজেলার একমাত্র উপজীব্য বোরো ফসল রক্ষার্থে প্রতি বছর হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ/মেরামত কাজে গুরুত্ব দিয়েছেন অপরিসীম।
শুধু তাই নয় ; তিনি শাল্লায় যোগদানের পর পরই হত-দরিদ্র ও শীতে কাবু লোকদের শীতবস্ত্র পৌঁছাতে রাতের আঁধারে গিয়েছেন প্রতিটি মানুষের বাড়িতে। বন্যাকালীন সময়েও জনসেবায় কাজ করেছেন অনবদ্য।
অপরদিকে উপজেলা পরিষদের আয় বৃদ্ধি ও স্থানীয় বেকারদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে স্থানীয় ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে ও উপজেলা পরিষদের অব্যবহৃত ভূমিতে গড়ে তুলেছেন দোকান-কোটা।
এছাড়া তিনি উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ স্কুলগামী শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার পথকে করেছেন সুগম। সাঁতার প্রশিক্ষণের ভেন্যু নির্মাণসহ বিভিন্ন মৌসুমী খেলাধুলায় এগিয়ে এসেছেন তিনি।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে সুবিধাভোগীর তালিকা প্রণয়নে উপজেলার প্রতিটি গ্রামের বিচরণ করেছেন তিনি। এক কথায় জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে তিনি উপজেলার সাধারণ জনগণের মন জয় করে নিয়েছেন এরই মধ্যে।
অন্যদিকে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ/মেরামত কাজের গুরুত্বসহ অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজের বদৌলতে তিনি সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ট ইউএনও’র সম্মাননা পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ৩১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদ ‘ইউএনও অব দ্যা ইয়ার-২০২০’ এর স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান করেন।