নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ শামীম মোড়ল বাড়ি বাড়ি গিয়ে বন্যার্ত অসহায় মানুষকে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ত্রাণ বিতরণ করেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষদের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এই কারণে তাদের খাবার জোগাড় করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এরই মাঝে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অকাল বন্যায় ফের পানি বন্দী হয়ে মানবেতর দিনযাপন করছেন
মোহাম্মদ শামীম মোড়ল বলেন, প্রতিবছর বন্যায় দেশের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। চারদিকে পানি থৈ থৈ করে কিন্তু পান করার যোগ্য পানি থাকেনা। বিশুদ্ধ পানির উৎস টিউবওয়েলগুলোও পানির নিচে যায়।
মানুষ আশ্রয় নিতে ছুটে বিভিন্ন নিরাপদ জায়গায়। এতে কিছুটা সমস্যার সমাধান হলেও অসুখ-বিসুখ, রোগ-ব্যাধির যন্ত্রণা থেকেই যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে আগের মত মানুষ অসহায় ও নিরুপায় হয়ে বসে থাকছে না। ঝড়ে ভাঙা বৃক্ষের গোড়া থেকে যেমন নতুন চারা অংকুরিত হয় মানুষও তেমনি বার বার দুর্যোগ মোকাবিলা করেও নতুনভাবে বাঁচতে শিখে।
বন্যায় নাগরিক জীবনে ভোগান্তির শেষ নেই। শহরে-বন্দরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বন্যার্ত মানুষেরা থাকে। অনেক অফিস ভবন, রাস্তাঘাট, পাঠশালা, হাট-বাজার, খেলার মাঠ পানির নিচে অকার্যকর হয়ে যায়, তখন মানুষের এক রকম বন্দীদশা হয়। তাই বন্যা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিগত অভিজ্ঞতায় বন্যা ও বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতির ভয়াবহতা মানুষের অজানা নয়। বন্যা আক্রান্ত জীবনের এই হুমকির মোকাবিলা করা সম্ভব সতর্কতার মাধ্যমে। তাই আসুন আমরা সতর্ক হই। রুখে দাঁড়াই বন্যার হুমকি। বাঁচি সুস্থ ও সবল চিত্তে।
সর্বশেষ তিনি বলেন, আমরা মানুষ, আর মানুষ হিসাবে মানুষের পাশে দাড়ানো আমাদের কর্তব্য। সরকার যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য দিয়ে জনগণের আছেন, তাই পাশাপাশি আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সবসময়ই অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমি চাই আমার ইউনিয়নের সকল ধর্মের মানুষই সুখশান্তিতে বসবাস করুক।