রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

জগন্নাথপুরে লেবু, বেগুন ও ক্ষিড়ার মূল্য আকাশচুম্বী, প্রয়োজন বাজার মনিটরিং

সংবাদকর্মীর নাম

 

 

 

হুমায়ূন কবীর ফরীদি,স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

 

 

জগন্নাথপুরে লেবু, ক্ষিড়া ও বেগুন এর মূল্য আকাশচুম্বী। আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষ এর ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে এই তিন কাচা মালের মূল্য । এই মুহূর্তে প্রশাসনিক ভাবে বাজার মনিটরিং জোরদাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

২৬ শে ফেব্রুয়ারী রোজ বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, আর মাত্র দুই দিন বাকী।মাহে রমজান এর হিসেব অনুযায়ী ১ লা মার্চ মাহে রমজান শুরু হবে। এই রমজানকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার, কলকলিয়া বাজার, মোহাম্মদগঞ্জ বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার, চিলাউড়া বাজার, রানীগঞ্জ, মীরপুর বাজার ও শ্রীরামসি বাজার সহ উপজেলার ছোটবড় সবকটি হাটবাজারে ২০০ গ্রাম ওজনের একহালি অর্থাৎ ৪টি লেবু ২ শত টাকা হতে ২শত ৪০ টাকা, বেগুন (হাইব্রিড তাল বেগুন) প্রতি কেজি ৬০ হতে ৭০ টাকা ও ক্ষিড়া প্রতি কেজি ৪০ হতে ৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। অথচ বিগত ২৩ ও ২৪শে ফেব্রুয়ারী এই লেবু প্রতি একহালি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৩০ হতে ৩৫ টাকা ও ক্ষিড়া প্রতি কেজি আকার ভেদে ১৫ হতে ২০ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়েছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে জানা গেছে। হটাৎ করে মাত্র এক-দুই দিনের ব্যবধানে আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে এই তিন পন্যের বাজার মূল্য দিগুণ হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এনিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে বাকবিতন্ডা হতেও দেখা গেছে। রমজানের ইফতারে রসনা বিলাসে এই তিনটি পন্য অনন্য ভূমিকা রাখার ফলে বিত্তশালীরা অধিক মূল্যে ক্রয় করছেন। আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা ৫০ গ্রাম ওজনের একটি লেবু সামর্থ্য অনুযায়ী ১৫ হতে ২০ টাকায় ক্রয় করে ক্ষিড়া ও বেগুনহীন ভাবে বাড়ী ফিরেছেন। এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফালাভের লক্ষে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লেবু,ক্ষিড়া ও বেগুন এর মূল্যে বৃদ্ধি করেছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। বিধায় জনস্বার্থে এই বিষয়ে বাজার মনিটরিং এর জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।এ ব্যাপারে বাজারে সদাই করতে আসা সবজি ক্রেতা আব্দুরব, লালন, এখলাছ ও সাহেল একান্ত আলাপকালে বলেন, গতকালও ২ শত গ্রাম ওজনের লেবু ১ শত টাকা হালি, বেগুন (হাইব্রিড তাল বেগুন) প্রতি কেজি ৩৫ টাকায় ক্ষিড়া প্রতি কেজি ১৫ হতে ২০ টাকায় ক্রয় -বিক্রয় হয়েছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে এইসব জিনিসের দাম দিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কি আর করব পন্য গুলো দেখা ছাড়া কেনার সাহস নাই। সবজি বাজার স্থিতিশীল রাখতে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ এর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি জোরদাবী জানাচ্ছি।এ ব্যাপারে সবজি ব্যবসায়ী, হুসিয়ার আলী, মুকিত মিয়া, কেবল বাবু ও লাল মিয়া সহ একাধিক ব্যবসায়ী একান্ত আলাপকালে বলেন, বাজারে তুলনামূলক ভাবে লেবু, ক্ষিড়া ও বেগুন কম উঠছে। এরই মধ্যে সমাগত রমজান দুই মিলে পাইকারীতে এই পন্য গুলোর দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, আমরা আগের মতোই লাভ করছি। লাভবান হচ্ছেন আড়ৎদার ব্যাবসয়ীরা। পাইকারী ভাবে কম দামে ক্রয় করতে পারলে আমরাও খুচরা বাজারে কম দামে বিক্রি করতে পারব।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করার অনুরোধ রইল ।

প্রকাশের সময় : ০১:০৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১৭৪ Time View

জগন্নাথপুরে লেবু, বেগুন ও ক্ষিড়ার মূল্য আকাশচুম্বী, প্রয়োজন বাজার মনিটরিং

প্রকাশের সময় : ০১:০৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

 

 

হুমায়ূন কবীর ফরীদি,স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

 

 

জগন্নাথপুরে লেবু, ক্ষিড়া ও বেগুন এর মূল্য আকাশচুম্বী। আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষ এর ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে এই তিন কাচা মালের মূল্য । এই মুহূর্তে প্রশাসনিক ভাবে বাজার মনিটরিং জোরদাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

২৬ শে ফেব্রুয়ারী রোজ বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, আর মাত্র দুই দিন বাকী।মাহে রমজান এর হিসেব অনুযায়ী ১ লা মার্চ মাহে রমজান শুরু হবে। এই রমজানকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার, কলকলিয়া বাজার, মোহাম্মদগঞ্জ বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার, চিলাউড়া বাজার, রানীগঞ্জ, মীরপুর বাজার ও শ্রীরামসি বাজার সহ উপজেলার ছোটবড় সবকটি হাটবাজারে ২০০ গ্রাম ওজনের একহালি অর্থাৎ ৪টি লেবু ২ শত টাকা হতে ২শত ৪০ টাকা, বেগুন (হাইব্রিড তাল বেগুন) প্রতি কেজি ৬০ হতে ৭০ টাকা ও ক্ষিড়া প্রতি কেজি ৪০ হতে ৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। অথচ বিগত ২৩ ও ২৪শে ফেব্রুয়ারী এই লেবু প্রতি একহালি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৩০ হতে ৩৫ টাকা ও ক্ষিড়া প্রতি কেজি আকার ভেদে ১৫ হতে ২০ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়েছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে জানা গেছে। হটাৎ করে মাত্র এক-দুই দিনের ব্যবধানে আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে এই তিন পন্যের বাজার মূল্য দিগুণ হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এনিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে বাকবিতন্ডা হতেও দেখা গেছে। রমজানের ইফতারে রসনা বিলাসে এই তিনটি পন্য অনন্য ভূমিকা রাখার ফলে বিত্তশালীরা অধিক মূল্যে ক্রয় করছেন। আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা ৫০ গ্রাম ওজনের একটি লেবু সামর্থ্য অনুযায়ী ১৫ হতে ২০ টাকায় ক্রয় করে ক্ষিড়া ও বেগুনহীন ভাবে বাড়ী ফিরেছেন। এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফালাভের লক্ষে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লেবু,ক্ষিড়া ও বেগুন এর মূল্যে বৃদ্ধি করেছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। বিধায় জনস্বার্থে এই বিষয়ে বাজার মনিটরিং এর জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।এ ব্যাপারে বাজারে সদাই করতে আসা সবজি ক্রেতা আব্দুরব, লালন, এখলাছ ও সাহেল একান্ত আলাপকালে বলেন, গতকালও ২ শত গ্রাম ওজনের লেবু ১ শত টাকা হালি, বেগুন (হাইব্রিড তাল বেগুন) প্রতি কেজি ৩৫ টাকায় ক্ষিড়া প্রতি কেজি ১৫ হতে ২০ টাকায় ক্রয় -বিক্রয় হয়েছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে এইসব জিনিসের দাম দিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কি আর করব পন্য গুলো দেখা ছাড়া কেনার সাহস নাই। সবজি বাজার স্থিতিশীল রাখতে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ এর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি জোরদাবী জানাচ্ছি।এ ব্যাপারে সবজি ব্যবসায়ী, হুসিয়ার আলী, মুকিত মিয়া, কেবল বাবু ও লাল মিয়া সহ একাধিক ব্যবসায়ী একান্ত আলাপকালে বলেন, বাজারে তুলনামূলক ভাবে লেবু, ক্ষিড়া ও বেগুন কম উঠছে। এরই মধ্যে সমাগত রমজান দুই মিলে পাইকারীতে এই পন্য গুলোর দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, আমরা আগের মতোই লাভ করছি। লাভবান হচ্ছেন আড়ৎদার ব্যাবসয়ীরা। পাইকারী ভাবে কম দামে ক্রয় করতে পারলে আমরাও খুচরা বাজারে কম দামে বিক্রি করতে পারব।